নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কার্যক্রম |
নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কর্মসূচি
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আওতায় ১৯৮৬ সালে নির্যাতিত নারীদের আইনগত পরামর্শ ও সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ১ জন আইন কর্মকর্তার সমন্বয়ে ৪টি পদ নিয়ে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেলের কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৮৬ সালেই নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কার্যক্রম জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে সম্প্রসারিত হয়। ইউনিয়ন পর্যায়েও নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়। এ কার্যক্রমকে আরো শক্তিশালী ও বেগবান করার জন্য জন্য মহিলা সহায়তা কর্মসূচি প্রকল্প নামে একটি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।
এ প্রকল্পের আওতায় ৬টি বিভাগীয় শহরে নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে ৬টি সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। বর্ণিত প্রকল্পটি বর্তমানে রাজস্বখাতভূক্ত হয়ে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মসূচি হিসেবে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও নারীর নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন নিরোধ কমিটি এবং প্রতিরোধ সেল
মহিলা সহায়তা কর্মসূচি |
১। নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেল |
২। মহিলা সহয়তা কেন্দ্র |
কার্যক্রম |
নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেলঃ ৬টি বিভাগীয় শহরে সকল শ্রেণীর নির্যাতিত মহিলাদের অভিযোগ গ্রহণ, পক্ষদ্বয়ের শুনানী গ্রহণ ও পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে পারিবারিক সম্পর্ক স্থাপন, সমত্মানের ভরণ পোষন, দেনমোহরানা ও খোরপোষ আদায়, সব ধরনের আইনগত পরামর্শ দান করা হয়। সেলে নিযুক্ত উপ-পরিচালক আইনজীবি ও সমাজকল্যাণ কর্মকর্তাগণ এ সকল শুনানী ও পরামর্শ প্রদান করেন। অনিষ্পত্তিকৃত অভিযোগসমূহ সেলের আইনজীবীর মাধ্যমে পারিবারিক ও ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে বাদীর পক্ষে মামলা পরিচালনা করা হয়। |
মহিলা সহায়তা কেন্দ্রনির্যাতিত, দুঃস্থ, অসহায় ও আশ্রয়হীন মহিলাদের ২টি শিশু সমত্মানসহ (অনধিক ১২ বছর) ৬ মাস আশ্রয় সুবিধা প্রদান, কেন্দ্রে থাকাকালীন বিনা খরচে খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা ও চিকিৎসা সুবিধাদি প্রদান, বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। |
চিকিৎসাঃ সহায়তা কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসারের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী আশ্রয়গ্রহণকারীদের চিকিৎসা সুবিধা প্রদান করা হয়। যে সকল কেন্দ্রে মেডিকেল অফিসার নেই সে সকল কেন্দ্রে বোর্ডারদেরকে সরকারী হাসপাতালের মাধ্যমে চিকিৎসা সুবিধা প্রদান করা হয়। |
মহিলা, শিশু ও কিশোরী হেফাজতীদের নিরাপদ আবাসন কেন্দ্র গাজীপুর। |
|||
কর্মসূচীর নাম |
: |
মহিলা, শিশু ও কিশোরী হেফাজতীদের নিরাপদ আবাসন কেন্দ্র, গাজীপুর। | |
|
অবস্থান |
মোগরখাল মৌজা, গাজীপুর।| |
||
পটভূমি |
: |
বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৬৪% নারী ও শিশু। এই জনসংখ্যার জীবন সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে প্রতিবন্ধকতাপূর্ণ। সামাজিক পরিস্থিতি ও নানাবিধ কারণে মহিলা, শিশু ও কিশোরীদের বিচারকালীন সময়ে নিরাপত্তা হেফাজতে যেতে হয়। এই হেফাজতে থাকাকালীন সময়েও তারা শারীরিক ও মানসিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আদালতে বিচারাধীন মামলার মহিলা, শিশু ও কিশোরী ভিকটিমরা মামলা চলাকালীন সময়ে যাতে জেলখানার বাইরে নিরাপদ আবাসন সুবিধা সহ তাৎক্ষনিক আইনগত সুবিধা পায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রকল্পটি প্রথমে পাইলট প্রকল্প হিসাবে ২০০১ সালে প্রণীত হয়। এ প্রকল্পের আওতায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের লালমাটিয়াস্থ একটি ভবনে ৬/৭ কক্ষে মাসে ৪০-৪৫ জন হেফাজতী আশ্রয় প্রদানের ব্যবস্থা করা হতো। ২০০১ ইং সনে গৃহীত প্রকল্পটির কার্যক্রম ১ বৎসর পরিচালিত হওয়ার পর এর প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব অনুধাবন করে এর পরিসর বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তীতে আবাসন কেন্দ্রের কার্যক্রম স্থায়ীভাবে পরিচালনার জন্য গাজীপুর জেলার সদর উপজেলাধীন মোগরখাল মৌজায় এক একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। অধিগ্রহণকৃত জমিতে হেফাজতীদের আবাসন ও অফিস কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে তিনতলা বিশিষ্ট ডরমেটরী ভবন, একতলা বিশিষ্ট হোস্টেল সুপারের বাসভবন, গার্ডরুম ও ১৬ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট পেরিমিটার ওয়াল নির্মাণ করা হয়। ৩০/০৬/২০০৯ তারিখে গণপূর্ত বিভাগের নিকট হতে ভবন বুঝে নেওয়া হয়েছে। গত ১৭/০৪/২০১১ তারিখে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক আবাসন কেন্দ্রটি উদ্বোধন করা হয় এবং হেফাজতীদের লালমাটিয়াস্থ আবাসন কেন্দ্র হতে মোগরখালস্থ গাজীপুরে আবাসন কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে আবাসন কেন্দ্রেটি থোক বরাদ্দ দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে। |
|
উদ্দেশ্য
|
:
|
১। হেফাজতী মহিলা, শিশু ও কিশোরীদের বিচারকালীন সময়ে নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা। ২। বিনা মূলে খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা, শিক্ষা ও বিনোদনের ব্যবস্থা করা। ৩। নির্ধারিত শুনানীর দিনে নিরাপত্তার সাথে কোর্টে হাজির করা এবং কোর্ট হতে আবাসন কেন্দ্রে ফেরত আনা। ৪। আশ্রয়কালীন সময়ে তাদের দক্ষ জনসম্পদে উন্নীত করার লক্ষ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। ৫। কেন্দ্রে অবস্থানকালীন সময়ে শারিরীক ও মানসিক চিকিৎসা সহ সম্ভব্য আইনগত সহায়তা প্রদান করা । মহিলা ও শিশুদের মানবাধিকার সমুন্নত রাখা। |
|
হেফাজতীদের ধরণ |
: |
মূলত কোর্ট হতে প্রেরিত বিভিন্ন মামলার ভিকটিম/হেফাজতীগণ (বাড়ী হতে পালায়ন, হারানো, ধর্ষন, হত্যা মামলার স্বাক্ষী ও অন্যান্য মামলা) অত্র কেন্দ্র হেফাজতী হিসাবে অবস্থান করে। |
|
কেন্দ্রের ধারন ক্ষমতা |
: |
কোর্ট হতে প্রেরিত ১০০ জন হেফাজতীর ধারন ক্ষমতা এ কেন্দ্রের রয়েছে। তিন তলা বিশিষ্ট ডরমেটরী ভবনের ২য় ও তৃতীয় তলায় সর্বমোট ২০ টি রুমে ০৫ জন করে বর্তমানে মোট ১০০ জন হেফাজতী অবস্থানের সুযোগ রয়েছে। |
|
হেফাজতীদের সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা |
: |
অস্থায়ী কেন্দ্র চলমান থাকা অবস্থায় ডিএমপি কর্র্তৃক ১০ জন পুরুষ পুলিশ সদস্য ও তিন শিফর্টে ৬ জন মহিলা পুলিশ সদস্য কর্তৃক হেফাজতীদের নিরপত্তা প্রদান করা হতো। বর্তমানে অত্র কেন্দ্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের প্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার গাজীপুর কর্তৃক প্রেরিত ০৫ জন পুরুষ পুলিশ ও ০২ জন মহিলা পুলিশ সদসের মাধ্যমে হেফাজতীদের নিরপত্তা প্রদান করা হচ্ছে। |
|
আসবাবপত্র ও যানবাহন |
: |
হেফাজতীদের কোর্টে আনা-নেয়া ও অফিসের কাজ পরিচালনার জন্য ২ টি মাইক্রোবাস, অফিস এবং আবাসন কেন্দ্রে হেফাজীদের ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় ৮৪৭ টি আসবাবপত্র বর্তমানে ব্যবহৃত হচ্ছে। |
|
অবস্থানরত হেফাজতীর সংখ্যা
|
: |
শুরু হতে চলতি মাস পর্যন্ত হেফাজতীদের অবস্থান |
|
শুরু হতে চলতি মাস পর্যন্ত |
চলতি মাস |
||
মোট ১৮৩০জন |
১৪ জন (মহিলা-০৩ জন, শিশু-০১ জন, কিশোরী-১০ জন) |
নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ন্যাশনাল হেল্পলাইন সেন্টার |
||||||||||||
হেল্পলাইন নম্বর-১০৯২১ . |
||||||||||||
ভূমিকা |
||||||||||||
বাংলাদেশ সরকার ও ডেনমার্ক সরকারের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরার প্রোগ্রামের আওতায় নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ন্যাশনাল হেল্পলাইন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর,৩৭/৩ ইস্কাটন গার্ডেনরোড, ঢাকা-১০০০ এর ৮ম তলায় এই সেন্টারটি অবস্থিত। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রন কমিশন (বিটিআরসি) এই প্রকল্পের অনূকুলে ১০৯২১ নম্বরটি হেল্পলাইন হিসেবে প্রদান করে । সকল মোবাইল এবং অন্যান্য টেলিফোন হতে এই নম্বরে ফোন করা যায়। এইসেন্টারটি অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি এবং হালনাগাদ াপারেটিং সিস্টেম দ্বারা সমৃদ্ধ। এই সেন্টারে ২৪ ঘন্টা কল করা যাবে। আশা করা যায় যে,এই সেন্টারের মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার মহিলা ও শিশু, তাদের পরিবার এবং সংশিস্নষ্ট অন্যান্য সকলে প্রয়োজনীয় তথ্য, পরামর্শসহ দেশে বিরাজমান সেবা এবং সহায়তা সম্পর্কে জানতে পারবে। |
||||||||||||
উদ্দেশ্য |
||||||||||||
নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুর প্রয়োজনীয় সকল ধরনের সেবা এবং সহায়তা প্রদান নিশ্চিতকরণ। ভিকটিম এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের আইনী বিধি-বিধান সম্পর্কে দিকনির্দেশনা প্রদান।সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে বিরাজমান অন্যান্য হেল্পলাইন সম্পর্কে তথ্য প্রদান।ভিকটিম এবং তার পরিবারের সদস্যদের মনোসামাজিক কাউন্সেলিং সেবা প্রদান।আইনসহায়তা প্রদানকারী সংস্থা এবং অন্যান্য সমাজকর্মীর মাধ্যমে বিশেষ পরিস্থিতিতে ভিকটিককে উদ্ধারে সহায়তা প্রদান। |
||||||||||||
জাতীয় পর্যায়ে নেটওয়ার্ক পদ্ধতি |
||||||||||||
নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরার প্রোগ্রামের সাথে সকলমোবাইলফোন কোম্পানী এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগকোম্পানী লিমিটেডের সাথে চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে ১০৯২১ নম্বরে সকলে যে কোন ধরনের মোবাইল এবং টিএনটিতে ফোন করতে পারে। ভিকটিম ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রয়োজনীয় সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা সিভিল সার্জন,জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা এবং সংশিস্নষ্ট মানবাধিকার সংগঠনের তথ্যসমূহ সংরক্ষণ করা হয়।ভিকটিম ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রয়োজনীয় বিভিন্নসেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনাকর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা এবং সংাশস্নষ্ট মানবাধিকার সংগঠনের তথ্যসমূহ সংরক্ষণ করা হয়। ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, ডিএনএ ল্যাবরেটরীসমূহ, বাংলাদেশ পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উইমেন সাপোর্ট সেন্টর, জয়েন্ট প্রোগ্রাম অন ভাউ এর উইমেন সারভাইভারস সাপোর্ট সেন্টার (ইউএনএফপি এর সহায়তায় পরিচালিত ), মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ,সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং বিভিন্ন বেসরকারী সংগঠনসমূহের শেল্টার ৬/২৮/২০১২র হোম এবং সেইফ হোম এর সাথে নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়। |
||||||||||||
হেল্পলাইন সেন্টার প্রদত্ত সেবা এবং সহায়তা সমূহ |
||||||||||||
এই সেন্টারে ২৪ ঘন্টা ১০৯২১ নম্বরে ফোন করা যায়। ভিকটিম, তার পরিবার এবং সংশিস্নষ্ট অন্যান্যদের যে কোন জিজ্ঞাসা এবং প্রশ্নের উত্তর প্রদান। জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধর্মরক সংবাদ ও রিপোর্টসমূহ ফলো-আপ কারা। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এস এমএস, ই-মেইল এবং ফ্যাক্স এর সাহায্যে স্থানীয় প্রতিনিধি এবং সংস্থানসমূহকে তথ্য প্রদান এবং ভিকটিমকে সাহায্যের জন্য অনুরোধ করা। ভিকটিম এবং পেশাজীবি (ডাক্তার, কাউন্সেলন, আইনজীবি, ডিএনএ বিশেষজ্ঞ, গবেষণা কর্মকর্তা এবং পুলিশ অফিসার) এর সাথে অন-লাইন যোগাযোগ রক্ষা করা। |
||||||||||||
হেল্পলাইন সেন্টারের মূল বৈশিষ্ট্য |
||||||||||||
প্রত্যক্ষ্ যোগাযোগের জন্য হেল্পলাইন হিসেবে বিশবসত্মতা রক্ষা।বিভিন্ন সহায়তার জন্য তথ্য এবং যোগাযোগের বিষয়সমূহের যথার্থতা। মহিলাদের সহায়তার জন্য অন্যান্য সেবার সাথে যোগসূত্র স্থাপন। নারী ও শিশু নির্যান প্রতিরোধে সামাজিক নেটওয়ার্ক ও জন সচেতনতা বৃদ্ধি। অধিকার বিষয়ক পরামর্শ এবং আইনী পরামর্শ। |
||||||||||||
যোগাযোগের পদ্ধতি |
||||||||||||
নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রাম মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার |
||||||||||||
উদ্দেশ্যাবলীঃ |
||||||||||||
সংশিস্নষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালঢ ও বেসরকারী সংস্থাসমূহের সাথে সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে নারী ও শিশু নির্যাতনে সহিংসতা হ্রাস করা এবং সেবা কার্যক্রম জোরদারকরণ করা এ প্রকল্পের মূল উদ্ধেশ্য। সুনিদ্দিষ্ট উদ্দেশ্যাবলী হচ্ছে ;(১) নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে সমন্বিত গুণগতমান সম্পন্ন, দক্ষ ওটেকসইসেবা প্রদান; (২) নারী নিযৃাতন প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং সরকারী সেবা প্রতিষ্ঠানে কার্যক্রম বৃদ্ধির জন্য সংশিস্নষ্ট প্রতিষ্ঠানকে সচেতন করা ; (৩) সমন্বিত/আমত্মমন্ত্রণালয় উদ্যোগের মাধ্যমে নারী নির্যাতন সম্পর্কিত কার্যক্রম গ্রহণে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ এবং (৪) নারী নির্যাতন প্রতিরোধে আইন ও প্রক্রিয়াগত সংস্কার অর্জন এবং নারী নির্যাতন প্রতিরোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা। ব্যবস্থাপনা ও কার্যক্রমঃ দশটি মন্ত্রণালয়েরক অংশগ্রহণে বহুমূখী ব্যবস্থাপনা কাঠামোতে সম্পূর্ণ অনন্য আঙ্গিকে প্রকল্পটি বাসত্মবায়িত হচ্ছে। প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয়ের কর্মকান্ডে নিজস্ব দায়িতব ও ভহমিকা রয়েছে। ফলশ্রম্নতিতে প্রতিটি মন্ত্রণালয় প্রকল্প কম্পোনেনেটর অংশীদার্ পাইলট পর্বে ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার এবং ১ম পর্বে ডিএনএ ল্যাবরেটরী প্রথমবারের মত বাংলাদেশে স্থাপিত হয়েছে। প্রকল্পের ২য় পর্বে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে নির্যাতহনের শিকার নারী ও শিশুদের জন্য কাউন্সেলিং সহায়তাকে অধিকতর জোরদার এবং ফলপ্রসু করার লক্ষ্য মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে ন্যাশনাল ট্রমা কাউন্সেলিয় সেন্টা স্থাপন করা হয়েছে। রংপুর এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেশের ৭ম ও ৮ম ওসিসি স্থাপন কা হয়েচে । প্রকল্পের ৩য় পর্বে চলমান কার্যক্রমসমূহ অধিকতর উন্নত ও গতিশীলসহ দেশের সকল নির্যাতনের শিকার নারীদের সেবা প্রাপ্তির সুবিধার্থে পর্যায়ক্রমে জেলা পর্যায়ে৪০ টি এবং উপজেলা পর্যায়ে ২০ টি ওয়ান স্টপ ক্রাইসিসসেল স্থাপন করা হবে। এই পর্বে নারনির্যাতন প্রতিরোধে একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে এবং এ লক্ষ্য উপজেলা, জেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত হবে। এছাড়াও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে ব্যাপক গনসচেতনতা অভিযান গড়ে তোলা হবে। |
||||||||||||
নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল পদ্ধতি |
||||||||||||
|
||||||||||||
প্রকল্প বাসত্মবায়ন ইউনিট |
||||||||||||
|
||||||||||||
নির্যাতিত নারীদের জন্য হেল্পলাইন (ভাও হেল্পলাইন) |
||||||||||||
|
||||||||||||
ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার ( ওসিসি) ও ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেল |
||||||||||||
বিভাগীয় মেডিকেল করেজ হাসপাতাল সমূহে অবস্থিত ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার ( ওসিসি) প্রকল্পের একটি মূখ্য কর্মসূচী । নির্যাননিারীদের সকল প্রয়োজনীয় সেবা একস্থানথেকে প্রদান করার ধারণার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে ওসিসি। স্বাস্থ্যসেবা , পুলিশী সহায়তা , ডি এনএ পরীক্ষা সামাজিকসেবা, আইনী সহায়তা, মানসিক কাউন্সেলিং এবং আশ্রয়সেবাসমূহ ওসিসির মাধ্যমে প্রদান করা হয়। প্রকল্পের আওতায় ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, বরিশাল, রংপুর ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুদের প্রয়োজনীয় সকল সেবা একস্থান থেকে প্রদানের উদ্দেশ্যে ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) স্থাপন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য সেবা, পুলিশী ও আইনী সহায়তা, মানসিক ও সামাজিক কাউন্সেলিং, আশ্রয় সেবা এবং ডিএনএ পরীক্ষার সুবিধা ওসিসি হতে প্রদান করা হয়। |
||||||||||||
|
||||||||||||
ডিএনএ ল্যাবরেটরী |
||||||||||||
নির্যাতিত নারীদের দ্রম্নত ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে জানুয়ারি ২০০৬ সালে ঢাকামেডিকেল কলেজে ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরী স্থাপন করা প্রকল্পের একটি গুরম্নত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। দেশব্যাপী নির্যাতিতদের সহায়তা করার লক্ষ্য রাজশাহী , সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, রংপুর ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ডিএনএ স্ক্রিনিং ল্যাবরেটরী প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিভিন্ন ঘৃণ্যতম অপরাধ যেমন ধর্ষণ, হত্যা ইত্যাদি দমনে এই ল্যাবরেটরীর মাধ্যমে পুলিশ ও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সহায়তা প্রদান করা হয় । এছাড়াও ডি এনএ পরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যাযেমন পিতৃত্ব অথবা মাতৃত্বের প্রমাণ , দদেশে অধিবাসী হতে ইচ্ছুকদের প্রয়োজনীয় ডিএনএ পরীক্ষা অথবা বংশের ধারা প্রমাণ এবং বিভিন্ন দুর্যোগে ও দূর্ঘটন্য় নিখেঁাজ,মৃত মানুষের পরিচিতি উদ্ধারে উলেস্নখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। প্রতিটি ওসিসিতে ৪ জন মেডিকেল অফিসার, ৬ জন নার্স, ২ জন পুলিশ অফিসার, ২জন পুলিশ কনষ্টেবল, ১ জন সমাজসেবা কর্মকতর্া, ১ জন আইনজীবি, ১ জন কাউন্সেলর, ১ জন কম্পিউটার অপারেটর এবং ৪ জন ম্যাসেঞ্জার কাম ক্লিনার নিযর্াতনের শিকার নারী ও শিশু সেবাদানে নিয়োজিত রয়েছেন। শারীরিক, যৌন এবং দগ্ধ এই তিন ধরণের নিযর্াতনের শিকার নারী ও শিশুকে ওসিসি হতে সেবা প্রদান করা হয়। অক্টোবর ২০১২ পর্যনত্দ মোট ১৬,০০০ জন নারী ও শিশুকে ওসিসিসমূহ হতে সেবা প্রদান করা হয়েছে। অক্টোবর ২০১২ পর্যনত্দ ওসিসিতে আগত মোট ৭৪৫ জন নিযর্াতনের শিকার নারী ও শিশুকে তাদের প্রয়োজনানুযায়ী এককালীন সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। |